শেষ শ্রাবণের রাতের প্রহরে
প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম
======================
তিনি মহান! মানব জাতির অনুপ্রেরণা
আমার প্রেম রাজ্যের রাজা মহামতি
তিনি স্রষ্টার স্বর্গীয় মানবতার মুক্তির উত্তরসুরী।
সমাপনী শ্রাবণের ঝুম বৃষ্টিতে
সেঁতসেঁত ভেজা আকাশ!
ঐ শেষ শ্রাবণের রাতের প্রহরে
মানব হৃদয়ের মহাকাশে মহা ভয়ঙ্কর প্রলয়
যার বহিঃপ্রকাশ অবিরত ঝরা অশ্রু দ্বয়!
অদ্ভুত বিরহে নীল হয়ে আসছে-
স্রষ্টা প্রেমীর কপোল, ঠোঁট ও চিবুক!
অথচ হিংস্র ফণা তুলে দাপিয়ে চলছে
যতসব নিন্দুক!
বুলেটে ঝাঁজরা হচ্ছে সাধারণ মানুষের বুক!
আমার পরিবেশ-প্রতিবেশে সহস্র মাইল দূরত্বেও
মনে হয় কেউ নেই, যেমনটি মনুষ্যহীন মরুভূমি!
জোড়া করতল আসমান বরাবর
খোদা প্রেমী আজ ভীষণ রকম কাঁদছে!
ডাহুকের মতো অস্থির হয়ে কাঁদছে!
অশ্রুতে তাজমহলের মার্বেল পাথরের মতো ভিজে যাচ্ছে অবিরত!
এ যেন পিতা হারাবার প্রচণ্ড শোক।
কোন এক অদৃশ্য ঘাতক
স্রষ্ঠার সৃষ্টির পীঠে করছে চাবুকের অাঘাত!
ইহকাল কাঁদছে! কাঁদছে! অনবরত কাঁদছে!
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির প্রতি কেন কিভাবে করলো
এমন জঘন্য, নির্লজ্জ, বেহায়া আচরণ ?
মাথা পেতে নিলাম,হুকুমত স্রষ্টার
সৃষ্টির অপশক্তির হীন কৌশলে শহীদ হওয়া!
মানুষের অবয়বে মোড়ানো ফেরেশতা
জাতির প্রিয় রাহবার।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে,
আবাল বৃদ্ধ বনিতার ধর্ম কর্মে
বহুদিনের স্মৃতিগুলো স্বর্ণখচিত জরিনে
স্বর্গীয় সুভায় সুরভিত হয়ে রবে
পৃথিবীর অন্তিমকাল অবধি।
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ হয়ে হাসরের মাঠে
বিধির সকল মুহলেছ মহা মানবের কাতারে।
সৃষ্টি আজ অবাক-বিস্মিত!
নামহীন অনুভূতি বুকের গহবরে
মফস্বল মতিহারের স্বপ্ন ফেরি করা
অসংখ্য তরুণের বুকে
বৃষ্টির আঁচের মতো
বারান্দা খোলা দখিনের শান্ত বাতাসে
বিলি কেটে গেলো!
সূর্য ততক্ষণে হেলে পড়েছে,
অপরাজনীতির অপশক্তিতে
তাইতো অমাবস্যার অন্ধকারে পথ হারিয়ে কাঁদছি! কাঁদছে! কাঁদাছে!
বয়সী বটবৃক্ষের মতো ঢালতেন তিনি
সৃষ্টির বুকে খচিত করতে নতুন মানচিত্র
“অদৃশ্য স্রষ্টা” মানুষের বুকে তিনি এঁকে দিতেন!
কথার যাদুতে বিপ্লবী স্লোগানে,
নিয়ে যেতেন নতুন দিনের স্বপ্নরাজ্যে!
বৈরী বাতাসে লাগাম টানতে
প্রাণিত করতেন ভাঙা মাস্তুলে প্রলয় হানতে
অনাবাদী মাঠে সবুজ ফলাতে
হাত ধরো সাম্য সুরুজ
তাইতো তিনি সৃষ্টিই ভালোবাসতো
চক্ষুহীন মানুষের মতো।
হে প্রিয় স্রষ্টা! হে মাবুদ,!
মরহুমের রূহ শুভ্র পায়রা করো
তোমার প্রশান্ত ছায়াতলে
আশ্রিতের ফরিয়াদে
পুরা সৃষ্টি তোমার তরে নতজানু।
তারিখঃ ১৮ আগস্ট ২০২৩ ইং
স্থানঃ হারবাং,চকরিয়া,কক্সবাজার।