আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ-
হয়রানী করতেই মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার আমতলী উপজেলার, আমতলী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের এ্যাডঃ আরিফ উল হাসান ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা এমন অভিযোগ করেছেন।
জানাগেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগষ্ট পদত্যাগ শেষে দেশ ত্যাগ করেন। ওই দিন আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল বাতেন দেওয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মুসুল্লী গাজীপুর বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ হাওলাদারের দোকান লুটপাট, ভাংচুর ও দখল করে নেয়। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুন হাওলাদার বাড়ী হয়ে আব্দুল বাতেন দেওয়ান ও নজরুল ইসলাম মুসুল্লীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা করায় বাতের দেওয়ার ও নজরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হন। এদিকে গত শনিবার রাতে আমতলী উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ এনে পৃথক পৃথক দুইটি মামলায় ৯৩ জনকে আসামী করা হয়। ওই মামলা দুইটির একটির বাদী উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক সোয়েব ইসলাম হেলালের দায়ের করা মামলায় আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই সোহেল রানাকে ২০ নম্বর ও আরিফ উল হাসান কে ২১ নং আসামী করা হয়। সোহেল রানার ও আরিফ উল হাসানের অভিযোগ এ মামলার সঙ্গে তিনি মোটেও জড়িত নন। হয়রানী করতেই তাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। এ মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মামলার আসামী এ্যাভোকেট আরিফ উল হাসান বলেন বিএনপির অফিস ভাংচুরের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না অহেতুক মিথ্যা ও হয়রানী করার জন্য আমাকে আসামি করা হয়েছে। এই মিথ্যা মামলার দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
মামলার আসামী সোহেল রানা বলেন, উপজেলা বিএনপির অফিস ভাংগাতো দুরের কথা আমি ওই অফিসই চিনি না। আমাকে হয়রানী করতেই এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। দ্রুত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মামলার বাদী সোয়েব ইসলাম হেলাল বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিধায় তাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিএনপির অফিস ভাংচুরের ঘটনায় ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে দুইটি মামলা হয়েছে। আরিফ উল হাসান ও সোহেল রানা এ মামলার আসামী। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।