মোঃ ইব্রাহিম খলিল
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে ভূগর্ভস্থ থেকে ড্রেজার মেশিন (বলগেট) দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে বালু খাদক রাজু। জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়ন এর সাইহাটি গ্রামের শেখপাড়া নামক স্থানে রউফ গাজী, জুলফিকার, আব্দুর রহিম গংদের জমির ভুগর্ভস্থ থেকে ড্রেজার মেশিন (বলগেট) দিয়ে ৬ টাকা ফুট চুক্তিতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ তথা বালু উত্তোলন করছে রাজু শেখ। যত্রতত্র ফসলি জমি, নদ নদী, পুকুর, খাল থেকে বিধিবহির্ভূত ভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে ভূগর্ভস্থ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আহরণ করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বালু খাদক রাজু শেখ সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়ন এর সাইহাটি গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখ এর ছেলে। বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে যে কোন সময় ভূমি ধ্বসের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, অধিক মাত্রায় ড্রেজার মেশিন (বলগেট) দিয়ে ফসলি জমি, জনবসতি এমনকি নদ নদীর ভূ-গর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী কুলে নেতিবাচক পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানি,বায়ু দূষণ, প্রাকৃতিক বৈচিত্র নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ভূমি ধ্বসের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে এসব নেতিবাচক প্রভাবের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ দিনকেদিন বিপন্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনে সৃষ্ট বায়ু দূষণে প্রতিনিয়ত মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে উদ্ভিদ ও প্রানী কুলের মধ্যে পরিবর্তন হওয়ার কারনে তাদের আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হচ্ছে তেমনি তাদের খাদ্যের উৎসও ধ্বংস হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে মৎস্য প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যপক হারে পাল্টে যাচ্ছে। নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পানি দূষণ ও নদী গর্ভের গঠন প্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন নদ- নদী ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। অবাধে বালু উত্তোলনের নিকটবর্তী স্থানে মাটির ক্ষয় হওয়ার পাশাপাশি মাটির গুনাগুন নষ্ট হচ্ছে। বালু উত্তোলনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে নলকূপের পানি পাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। বালু উত্তোলনের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে ব্যপক হারে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে যা আগামী প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। এ বিষয় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টাকালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।