1. admin@dhakapost71.com : admin :
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন

এ বিজয়ে মানুষের মাঝে জেগে উঠুক দেশপ্রেম

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১১ বার পঠিত

।। ওসমান গণি।।

মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন ১৬ ডিসেম্বর। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।বিজয়ের অনুভূতি সব সময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও, বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের জন্য। এই সব উৎসবকে ঘিরেই থাকে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের আয়োজন। আর বিজয়ের উৎসবে কথাই নেই। প্রতিবারের মতো এবারও সবাই মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে ইতোমধ্যে কেনাকাটা করেছেন। দেশপ্রেমের ভাবনা নিয়ে বিজয় দিবসে বিজয়ের পোশাকে নিজেকে সাজাতে চান সবাই।বিজয়ের পোশাক মানেই থাকবে লাল সবুজের ছোঁয়া। এই দুটি রংকেই মুখ্য করে আরো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি হয় বিজয়ের পোশাক।বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের বিভিন্ন অধ্যায় ও কথা, কবিতা উঠে আসে সেসব পোশাকে। যা পরে বাংলাদেশিরা দেশের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা তুলে ধরেন।আর এ সময় দেশে বাঙালিদের সময়োপযোগী ফ্যাশনে অভ্যস্ত করেছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো। তাদের সৃজনশীলতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিজয় বা স্বাধীনতা দিবসে লাল-সবুজের পোশাকে সেজে উঠেন বাঙালিরা।

এবারও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো পোশাকে রেখেছে লাল সবুজের সমাহার। পতাকা থিমের লাল-সবুজ রঙের টি-শার্ট হোক কিংবা সেলোয়ার কামিজ, শাড়ি বা পাঞ্জাবি সব পোশাকেই রয়েছে নতুনের ছোঁয়া।ডিজাইন, ফ্যাব্রিকের রয়েছে বৈচিত্র্য। ছোট থেকে বড় সবার জন্যই রাখা হয়েছে এসব আয়োজন।এই সাজে প্রাধান্য পেয়েছে শীতের পোশাকও। শাড়ি, কামিজ, টপ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, শীতের শালে রাখা হয়েছে বিজয়ের লাল সবুজের ছোঁয়া।সময়ের পরিবর্তন হয়েছে।কিন্তু ফ্যাশনধারা বদলে গেলেও দেশপ্রেমের চেতনা রয়েছে অটুট। এসব দেখা যায় বিজয়ের পোশাকগুলোতে। ফ্যাশন হাউসগুলো তাদের কালেকশনে থাকা পোশাকে তুলে ধরেছে গৌরবের নানা অধ্যায়, নানা অর্জন। থিমভিত্তিক রং ও মোটিফের বিন্যাস রয়েছে এসব পোশাকে। সঙ্গে থাকছে আরামদায়ক কাপড়ও। আর প্রিন্টের কাজ কিংবা অ্যাম্বোডারি কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ডিজাইন। আরো রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট ও ব্লক প্রিন্ট। যেগুলো দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে একাত্তরের ছবি।একাত্তরের প্রতি শ্রদ্ধা আর দেশপ্রেমের চেতনাকে ধারণ করে সব বয়সীরাই বিজয়ের পোশাক বেছে নিচ্ছেন। দেশীয় ফ্যাশন হাউজসহ বিভিন্ন পোশাকের দোকানে এখন ভিড় করছেন ক্রেতারা। উদ্দেশ্য বিজয়ের পোশাকে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করা। দেশপ্রেমকে গায়ে জড়িয়ে বিজয়ের আনন্দে একাত্মতা প্রকাশ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই।শুধু পোশাকই নয়, অন্যান্য অনুষঙ্গেও বিজয়ের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়। ওড়না, হিজাব, কানের দুল, খোঁপার ক্লিপ, হাতের চুড়ি-বালা, পুঁতির মালা, মাস্ক, গলার হার, ঘড়ি, চশমার ফ্রেম, মাথার হ্যাট-সব কিছুতেই যেন থাকে বিজয় দিবসের চিহ্ন। এসবই দেশীয় ফ্যাশন হাউস, বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে কিংবা অনলাইনভিত্তিক পেইজগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। বিজয়ের পোশাকে শুধু বিজয় দিবসের থিম রাখতে এসব পোশাক পরাই যায়। আর লাল-সবুজ রঙের পোশাকেই বিজয় দিবসে আপনি হবেন  বৈচিত্র্যময়।

লেখক:ওসমান গণি
চান্দিনা প্রতিনিধি

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2023 Dhaka Post 71
Theme Customized By Shakil IT Park