নয়ন মিয়া
নকলা প্রতিনিধ
সারা দেশের ন্যায় শেরপুরের নকলায় চতুর্থ অর্থনীতির শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। আর( ১০ডিসেম্বর) শুমারির মূল কাজের উদ্বোধন করা হয়। ১০ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে (২৬ শে ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশ ব্যাপী এই শুমারীর তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সঠিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেট তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। সাময়িক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তথ্য সংগ্রহকারী নয়ন শেখ সুমন মাহমুদ শিপন মিয়া মুস্তাক আহমেদ সহ অনেকে জানান তাদেরকে তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি মূল তথ্য সংগ্রহের কাজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু করেছেন।সুপারভাইজার সিজার মিয়া সহ কয়েকজন সুপারভাইজার জানান তথ্য সংগ্রহকারীদের সার্বিক সহযোগিতা ও যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় তাদেরকে পরামর্শ সেবা এবং তথ্য সংগ্রহকারীদের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সুপারভাইজারগন মাঠে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করছেন। তাছাড়া তথ্য সংগ্রহের সার্ভিক অবস্থা উপজেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেরন করে ব্যস্ত সময় আসছে তারা। নকলা উপজেলার জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী আতিকুর রহমান জানান অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য গ্রহের কাজে ১৪৯) জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৪ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১২ জনকে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদেরকে নকলা সরকারি হাজী জাল মামুদ কলেজ ও চন্দ্রকোনা কলেজে এই দুইটি ভ্যানুতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে প্রত্যেকটি ইউনিট ও পরিবারের ৭০ টি প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করতে হবে। তথ্য সংগ্রহকারীগণ এবার প্রথম ট্যাপের মাধ্যমে হ্যাপি পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক শুমারীর তথ্য সংগ্রহ করছেন।উপজেলা পরিসংখ্যান তদন্তকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর পর এমন শুমারির কাজ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান পুরো (বি বি এস) এ ছাড়া দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তথ্য সংগ্রহকারীদের কাজ তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় শঙ্খক সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে লিস্টিং এর মাধ্যমে দেশের এক ১কোটি ২২লক্ষ ইউনিট শনাক্ত করা হয়েছে। এই শুমারীতে দেশের কতজন বিদেশি নাগরিক নিয়োজিত আছে কি ধরনের প্রতিষ্ঠান ও কোন পদে কর্মরত আছেন এবং বিদেশি নারী পুরুষ কতজন কর্মী এদেশে রয়েছেন তার তথ্য নেও হচ্ছে।তথ্য মতে মাঠ পর্যায়ে থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড (বিডিসিসিএল)সমৃদ্ধ ডাটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে থেকে( বি ডি সি সি এল) হয়ে (বিবিএস) সার্ভারে আসার আগ পর্যন্ত সংগৃহীত সকল তথ্য উপাত্ত গোপনীয়তা বজায় থাকবে।