শুভ্র মজুমদার :
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা ও স্থানীয় মাতব্বরদের বাধার মুখে পড়েছেন, শাহামতের ছেলে মোহাম্মদ হায়দার আলী। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালতের চূড়ান্ত রায় এবং সরকারি আমীনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের পরও তিনি নিজের জমিতে কাজ করতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় মাতব্বররা এই বাধার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০১৩ সালে দায়ের করা মোকদ্দমা নং ৩৬/২০১৩-তে হায়দার আলী ৫৪ শতাংশ জমির মধ্যে ২৭ শতাংশের অধিকার দাবি করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি মামলাটি প্রাথমিক ডিগ্রি থেকে চূড়ান্ত ডিগ্রিতে রূপান্তরিত হয়। পরে ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল আদালতের আদেশে সরকারি আমীন সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশান ও সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, যাঁদের স্বাক্ষরও নথিতে রয়েছে।
তবে আদালতের এই রায় কার্যকরের পরও হায়দার আলী জমি দখলে থাকলেও কাজে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। ভুক্তভোগী অভিযোগে বলেন, স্থানীয় মাতব্বর হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে জমিতে কাজ করতে দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, “আইন আমার পক্ষে থাকলেও মাতব্বরদের বাধার কারণে আমি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে আমার জমি দখলের শঙ্কা রয়েছে।
আদালতের রায় কার্যকর এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সক্রিয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। হায়দার আলীর প্রত্যাশা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাঁকে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেবে।
টাঙ্গাইলে পৈত্রিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধ এবং স্থানীয় মাতব্বরদের প্রভাবের কারণে আইনি লড়াইয়ের পরও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হায়দার আলী।