ভিকটিম কোরবান এর সাথে আসামীরা পূর্ব পরিচিত এবং একই সাথে মিস্ত্রির কাজ করতো। কিছুদিন যাবত কাজের হিসাব নিকাশ ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আসামীদের ও ভিকটিমের মধ্যে মনমালিন্য চলছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখ ভিকটিম কোরবান কে দুপুরের দিকে আসামীরা বাড়ি থেকে কাজের কথা বলে কেএমপি খুলনার সদর থানাধীন নিড়ালা ১ নং রোডস্থ্ দিঘীরপার ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম কোরবান উক্ত স্থানে যাওয়ার পরে ধৃত অন্যতম আসামী হৃদয় (১৯) সহ অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিমের উপর উপুর্যপুরি মাথা তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুসি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আসামীদের এলোপাথারী আঘাতে গুরুত্বর জখমপ্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে এবং ভিকটিমের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে মুমুর্ষূ অবস্থায় দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম কোরবান কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে কেএমপি খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয় র্যাব সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৮ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখ র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর “কোরবান” হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কেএমপি খুলনার লবনচরা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ কেএমপি খুলনার লবনচরা থানাধীন রিয়াবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আাসমী ১। হৃদয় হাওলাদার (১৯), থানা-খুলনা সদর, জেলা-কেএমপি খুলনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।