মোঃ মামুন সেখ
উপজেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ সদর৷
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের দুইটি পয়েন্টে যমুনার পানি ১৫ ও ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ ও কাজিপুর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সকল নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। পাশাপাশি পানি বাড়ছে বিলেও। এতে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শাকসবজি, বীজতলা ও রোপা আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল। পাশাপাশি জেলার কয়েকটি অংশে যমুনার পাড়ে রয়েছে তীব্র ভাঙন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, আজ সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ মিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১২ মিটার। এই পয়েন্টে ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।
রঞ্জিত কুমার সরকার আরও বলেন, পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই। উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ছে। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়বে, তারপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনকবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।