মোঃ ইব্রাহিম খলিল
সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইনামুল হক সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের একটি মেসে ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারী আমিনুর রহমানকে হত্যাসহ ৭জনকে গুলি করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ০১ আদালতের বিচারক নয়ন বড়ালের আদালতে জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫৪) বাদী হয়ে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেনঃ সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ১. চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ২। কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ৩। মোঃ ইনামুল হক, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ৪. মোঃ আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা ৫. এস. এম ইউসুফ সুলতান ৬. ডিবির আলি হোসেন, কামালনগর সরকারি প্রঃ বিদ্যালয় সংলগ্ন মোকছেদ সরদারের ছেলে ৭। মোঃ বাবর আলী, ৮. আবুল কাশেম (এস.আই) ৯। হুমায়ূন কবীর (এস.আই), ১০। বিধান কুমার বিশ্বাস (এস.আই), ১১। ইয়াছিন আলী (এস.আই) ১২। লিটন বিশ্বাস (এ.এস.আই), ১৩। জাহাঙ্গীর আলম, কং- ১৪৫, ১৪। বেলায়েত হোসেন, কং- ৫৬৭, ১৫। জিল্লুর রহমান, কং- ৬২৫, ১৬। বাবুল হোসেন, কং-৭৭১,। ফারুখ হোসেন, কং- ২৩৪, ১৮। শেখ আলম, কং- ১৯৭, ১৯। আব্দুল হান্নান, এস.আই, ২০। হান্নান শরীফ, এস.আই, ২১। আবুজার গিফারী, এস.আই, ২২। হাবিবুর রহমান, কং- ৭৪৪, ২৩। রাসেল মাহমুদ, কং- ৭৯৭, ২৪। ওমর ফারুক, কং- ১৬০, ২৫। আব্দুর রহমান, কং- ২৮৭,২৬। আবিদুর রহমান, কং- ৪৭৩, ২৭। আসাদুজ্জামান, কং- ৪৭০, ২৮। বদরুল আলম, কং- ২০০, তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা।
আদালতে বাদী পক্ষের আইন আইনজীবী এড. আবুল কালাম বাবলা বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইনামুল হক এর নের্তৃত্বে অভিযান পরিচালনার নামে তৎকালীন সময় ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারী আমিনুর রহমান কে গুলি করে হত্যা করে। এসময় মেসে থাকা আরো ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাছ থেকে বন্দুক থেকিয়ে গুলি করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতর কারণে পুলিশ তখন আমাদের মামলাটি আমলে নেয়নি। এখন আমরা দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।