মোঃজিয়াউল হক , শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্ৰামের মৃত.নত্তশের আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) বিকালে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিং করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন প্রকাশ গত ২৭জুন ব্র্যাক ব্যাংক শেরপুর শাখা থেকে ২লক্ষ ৪০হাজার টাকা উত্তোলন করে তার ঘরের ট্রাংকে তালা মেরে রেখে দেয়। বিষয়টি প্রতিবেশী আলিমুল ইসলাম জানতো। এরপর রাকিব তার মা নার্গিস বেগমকে বাড়িতে রেখে ২৭ জুন বিকেলে স্ত্রী সন্তান সহ টাঙ্গাইলে শ্বশুরের কর্মস্থলে বেড়াতে যায়। পরে একইদিন দিবাগত রাত
দেড়টার দিকে আলিমুল ইসলাম ওই টাকা চুরি করতে রাকিবের ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় রাকিবের মা অপর কক্ষে
ঘুমাচ্ছিলেন। পরে ট্রাংকের তালা ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে বের হলে আলিমুল পাশের ঘরে লুকানোর চেষ্টা করে। এসময় রাকিবের মাতা
নার্গিস বেগম লাইট মেরে আলিমুলকে দেখে ফেলে। এসময় আলিমুলের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নার্গিস বেগমের পেটে একাধিকবার আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এমতাবস্থায় নার্গিস বেগমের ডাকচিৎকারে
আশপাশের লোকজন এগিয়ে আলিমুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্গিস বেগমকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।পরবর্তীতে নার্গিস বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯জুন রাতে মৃত্যুেবরণ করে।
পরে নিহতের ছেলে মো. রাকিব হোসেন প্রকাশ বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় দায়ের করে। এ ঘটনার পরেই আলিমুল আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খন্দকার সালেহ আবু নাঈম এবং এল আই সি শাখার এস আই মোহাম্মদ আশিকুর রহমান সহ একটি চৌকস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী মো. আলিমুল ইসলামকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা এলাকা থেকে ৩জুলাই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আজিজুর
রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : মাহফুজুর
রহমান