ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ ৪৫ হাজার বস্তায় ব্যাগিং পদ্ধতিত আদার চাষ হয়েছে।
খাদ্যর স্বাদ বৃদ্ধি করা জনপ্রিয় এক মশলাজাতীয় ফসল হলো আদা। ভেষজ গুণে ভরপুর আদা কাঁচা ও শুকনা দু’ভাবেই ব্যবহার করা যায়। তাই সারাবছর ক্রেতাদের কাছ এর চাহিদাও থাকে বেশি। নিজ বাড়ির আঙ্গিনায়, বাড়ির আশপাশের ঝাপঝাড় পরিষ্কার করে এবং আম বাগানে ব্যাগিং পদ্ধতিতে বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ করা হচ্ছে।
উপজলার বাচোর ইউনিয়নের কৃষক ওসমান গণি ৩০ হাজার , আহসান হাবীব ৫ হাজার , নন্দুয়ার ইউনিয়নের দুলাল হোসেন ৪ হাজার বস্তায় আদা লাগিয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
এছাড়াও অত্র উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৫’ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, বস্তায় আদা চাষ কম পরিশ্রমে লাভজনক একটি ফসল। গতবছরে কিছু কৃষক পরীক্ষামূলক ভাবে শখের বশে ১০০/২০০ বস্তায় চাষ করেন।
ফলন ভালোর পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ায় এবছর উপজলায় আদা চাষিরা বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে ও আম বাগানের ভিতরে প্রায় ৪৫’ হাজারের অধিক বস্তায় আদার চাষাবাদ করছেন। গাছগুলাতে এখন থোকায় থোকায় আদা ধরেছে একটি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজির বেশি আদা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে আদা চাষের পদ্ধতি দেখার সময় কৃষক ওসমান গণি বলন, গতবছর পরীক্ষামূলকভাব ১২০ টি বস্তায় আদা চাষ করি, আদার ফলন ভালো হওয়ায় এবারে উপজলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে বড় পরিসরে আদা চাষের জন্য প্রথমে জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে আম বাগানর ভিতরে ৭ বিঘা জমিতে ৩০’ হাজার বস্তায় আদার বীজ রোপন করি, প্রতিটি বস্তায় তিন থেকে চারটি করে আদার বীজ রোপন করেছি এবং তিনি আরও বলেন ৭ বিঘা জমিতে তাঁর ঘেরা সহ আদা চাষে প্রায় ২০-২২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে আবহাওয়া প্রতিকূল ও বাজারে ভালো দাম পেলে ৭ বিঘা জমি থেকে প্রায় ৮০-৯০ লক্ষ টাকার আদা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
ধর্মগড় ইউনিয়নের কৃষক আহসান হাবীব বলেন, প্রথমে তিনি ইউটিউব দেখে আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং উপজলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে আমি বাগানের ভিতরে আদা চাষ শুরু করি।
এই বিষয়ে উপজলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আদা একটি অর্থকরী ফসল এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে রোগ বালাইয়, পোকার আক্রমণ জমিতে কম হয় এবং বস্তায় আদা চাষে কিটনাশক ও পানি কম লাগে জমির পাশাপাশি কেউ চাইলে বাড়ির ছাদ, ব্যালকুনি এবং বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত জমিতে আদা চাষ করা যায়। স্বল্প পরিসরে এ চাষের মাধ্যম নিজেদের আদার চাহিদা মেটানো সম্ভব এতে আমদানী নির্ভরতা কমবে।