1. admin@dhakapost71.com : admin :
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মেম্বারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। ঠাকুরগাঁও এর রাণীশংকৈলে ভাঙচুর-মারামারিতে হানিফ সংকেতের ইত্যাদি অনুষ্ঠান পণ্ড নীতিবান মানুষ হিসেবে আগে নিজেকে সংস্কার করুন : ড. মঈন খান ঝিনাইগাতীতে বালুভর্তি মাহিন্দ্র গাড়ী উল্টে চালকের মৃত্যু! নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে বিরুদ্ধে ২০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের প্রস্তাবীত আহবায়ক নাদিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ কালিহাতীতে তরুণ যুব সংঘের ফুটবল টুর্নামেন্টের জমজমাট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর হুজুরের আগমনে প্রস্তুত হচ্ছে ৮ ময়দান। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি দিনাজপুরে ভুয়া ওসি কোতয়ালি থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আটক

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

মোঃ ইনামুল হক বদরগঞ্জ,রংপুর প্রতিনিধিঃ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২, ৩ এবং ৪ নম্বর অভিযোগে আজহারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আর অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল।

পরে আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করা হয়। ওই আপিলের ওপর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ। আপিলের রায়ে বিচারপতিগণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ২, ৩ এবং ৪ নম্বর অভিযোগে আজহারের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ছয়টি।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাসানী (ন্যাপ) নেতা ও রংপুর শহরের বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী এ ওয়াই মাহফুজ আলীসহ ১১ জনকে অপহরণ করে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাদের ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, আসামি একাত্তরের ১৬ এপ্রিল তার নিজ এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জ থানার ধাপপাড়ায় ১৫ জন নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে তাদের বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করেন।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, আসামি একই বছরের ১৭ এপ্রিল নিজ এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ারবিল এলাকায় ১২শ’র বেশি নিরীহ লোক ধরে নিয়ে হত্যা করে তাদের বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করেন।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৭ এপ্রিল কারমাইকেল কলেজের চার অধ্যাপক ও এক অধ্যাপকের স্ত্রীকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে অপহরণ করে দমদম ব্রিজের কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।

পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রংপুর শহর ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহিলাদের ধরে এনে টাউন হলে আটকে রেখে ধর্ষণসহ শারীরিক নির্যাতন চালান। একই সঙ্গে মহিলাসহ নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুরুতর জখম ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এ আসামি।

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর শহরের গুপ্তপাড়ায় একজনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একই বছরের ১ ডিসেম্বর রংপুর শহরের বেতপট্টি থেকে এজনকে অপহরণ করে রংপুর কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন ও গুরুতর জখম করেন।

উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং দলটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও রিভিউ’র পর তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ইসলামিক স্কলার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকেও আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাবন্দী অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এখানে প্রায় অর্ধশত মামলায় রায় হয়।

তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই বিচার শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ট্রাইব্যুনালের বিচারকসহ অন্যান্যদের একটি স্কাইপি কেলেঙ্কারি বিতর্কের সৃষ্টি করে।

পাশাপাশি আসামীর পক্ষে সাফাই সাক্ষীকে অপহরণসহ নানা অভিযোগ ছিল ওই বিচারিক কার্যক্রমে। আসামি পক্ষে আইনজীবী ও তাদের স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা ওই বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তাতে কোন কর্ণপাত করেনি সংশ্লিষ্টরা।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2023 Dhaka Post 71
Theme Customized By Shakil IT Park