দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
===============
লিগ্যাসির স্বত্বাধিকারী মোঃরাহমাতুর রাফসান অর্নবের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মিথ্যা মামলা আনয়ন করে তাকে ও তার পরিবারকে হয়রানি ও শান্তি বিনষ্ট করার প্রতিবাদে সাইমুন আক্তার রিক্তা,কতিপয় কুচক্রী মহল ও আদালতে মামলা দায়েরকারী এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী রাফসান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় দিনাজপুর বিরল উপজেলার মানপুর গ্রামের পিতা সাইফুল ইসলাম ও মা সাহেরা খাতুনের মেয়ে সাইমুন আক্তার রিক্তা অস্তিত্ববিহীন এনআইডি কার্ড দিয়ে এবং জাল কাবিননামা তৈরী করে যৌতুকের মিথ্যে মামলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বিরল দিনাজপুরে গত ৬ই মে ২০২৪ একটি মামলা করেন,যার নাম্বার সি আর ১৫৮/২৪।
বিজ্ঞ আদালত বাদানির জবানবন্দি গ্রহন পূর্বক বিবাদীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।পরবর্তীতে গত ২৭জুন বিরল থানার ওয়ারেন্ট তামিল পূর্বক বিবাদী রাফসানকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গত ১জুলাই জামিন শুনানিতে বাদীর কাবিননামা ও এনআইডি এবং অন্যান্য কাগজপত্র যাচাইকালে জাল ও ভুয়া বিষয়টি বিচারক লিমেন্ন্ট রায়ের দৃষ্টিগোচর হয় ।বিজ্ঞ বিচারক জামিন শুনানি শেষে বাদিনী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ ফিরোজ জামানকে বাদিনীর ঠিকানা সম্বন্ধে জানতে চাইলে আইনজীবী বাদিনীর ঠিকানা সম্বন্ধে অবগত নন বলে আদালতকে অবগত করেন এবং বলেন মহুরী এই মামলার আর্জি প্রস্তুত করেছে।তিনি মহুরীর উপর নির্ভর করে সই সাক্ষর করেছে।বিবাদী রাহা্মাতুর
রাফসান এর বিজ্ঞ আইনজীবীগন বলেন এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা এবং বাদিনীর আইনজীবী বাদীনীকে হাজির করতে পারছে না।বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের
সংগে দেখার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন।তখন বিজ্ঞ বিচারক অল্প সময়ের মধ্যে বাদীনিকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে সকল কাগজের মুল কপি দেখানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।সেই সাথে বিবাদী রাফসানকে সন্মানে জামিনের আদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে বাদীনি ও তার সহোযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে গত ১২ জুন ২৪ মোছা সাইমুন আক্তার স্বামী বেলাল হোসেন সাং -অন্ধ হাফেজ মোড়,বালুয়াডাঙ্গা,সদর ,দিনাজপুর অন্য একটি এনআইডি ব্যবহার করে শহরের রামনগর এলাকার কতিপয় ছেলেকে ছিনতাই মামলার আসামি করে আমলী আদালত বিরল ,দিনাজপুরে একটি মামলা করে ।যাহার মামলা নাম্বার ১১৯/২৪(বিরল)।উক্ত মামলায় আসামিরা সংশ্লিষ্ট আদালত হতে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ।বিবাদীর আইনজীবী মোঃ সাদেকুল আরেফিন বলেন যে এটা প্রতীয়মান হয় যে এটি একটি সংঘবদ্ধ মিথ্যা মামলা সৃষ্টি কারী চক্রের কাজ।যারা দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম গুলো করছে তাদের আইনের আওতায় আনলে মানুষের হয়রানি কমবে এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ বিষয়ে বিবাদী রাফসান’এর বিজ্ঞ আইনজীবী মকসেদুর রহমান শাহজাদা বলেন কাগজ পত্রের সঠিকতা ছাড়া এ ধরনের একটা মামলা , এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।আর এই ধরনের মামলা হলে বাংলাদেশে খারাপ ইতিহাস সৃষ্টি হবে।তবে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের মামলার উদ্ভব হয়ে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই দিকে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেবার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ।