মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :রুহুল আমীন খান উজ্জ্বল।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বরেন্দ্র সাংবাদিক মরহুম শামসুর রহমানের বাড়ির উপর এলজিইডি রাস্তার বিপদজনক ২টি মরা আকাশমনি গাছ অপসারণের জন্য দাবি তুলা হয়েছে।ঘটনাটি উপজেলার বহরা ইউপি উত্তরশিক গ্রামে।
সাংবাদিক শামসুর রহমানের স্ত্রী শরিফা বেগম ৬ মাস আগে (১২ জুন২০২৪) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আবেদন করলেও গাছ দুটি অপসারণ কিংবা কোন ধরনের প্রতিকার পাচ্ছেন না।
সরজমিনে দেখা যায়,উপজেলার বহরা ইউপির উত্তরশিক গ্রামের এলজিইডি রাস্তা ঘেষা ২টি মৃত আকাশমনি গাছ তাদের বাড়ির উপর বিপদজনক অবস্থায় অবস্থান করছে।এরমধ্যে একটি গাছ বেশি বিপদজনক।পাশে রয়েছে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনও। যেকোনো সময় ভেঙে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।গাছ কাটলে আইন ভঙ্গ হবে এই ভয়ে তারা নিজে নিজে এটি অপসারণ করতেও ভয় পাচ্ছেন।
সাংবাদিক পত্নী শরিফা বেগম বলেন,গাছ দুটি কারণে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।কোন সময় যে আমরা পত্রিকার খবর হয়ে যাই,তার ঠিক নেই।দ্রুত এটি অপসারণ করা হোক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন জানান,আসলে গাছ দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন ।এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন ফোরামে আমি কথা বললেও তেমন কাজ হচ্ছে না।
মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, গাছগুলা আসলেই ভয়ংকর অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত এসব অপসারণ করা উচিত বলে আমরাও মনে করি। ইউএনও স্যার বললে আমরা আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।
যোগাযোগ করা হলে মাধবপুরের ইউএনও জাহিদ বিন কাসেম জানান,আমি নতুন যোগদান করেছি। আবেদনটি সম্ভবত আগের ইউএনও থাকাকালীন সময়ের। অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করে সাধ্যমত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রসঙ্গত,২৬ নভেম্বর ২০২২ সালে মারা যান সাংবাদিক শামসুর রহমান।তিনি বাংলা টাইমস এর উপসম্পাদক ও দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন।সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথেও তার সুসম্পর্ক ছিল।এছাড়া সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারও তিনি লাভ করেছিলেন।সাংবাদিক শামসুর রহমানের আদর্শ এখনও হবিগঞ্জ তথা মাধবপুরের অনেক সাংবাদিকের প্রেরণা হিসেবেও কাজ করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আজিজুর
রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : মাহফুজুর
রহমান