উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মাহবুব হাসান আরমান
রাতে ব্যবসায়ী ফিরোজের বাড়িতে ডাক-চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তারা। পরে ঘরের লোহার জানালার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান। এছাড়া ভাঙা আলমারির মধ্যে থাকা কাপড়- চোপড় আলমারির পাশে এলোমেলো পরে থাকতে দেখেন। তার ঘর থেকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানতে পারেন তারা। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ ফিরোজ বলেন, ‘আমি একজন গরু ব্যবসায়ী। গরু কেনার জন্য আলমারিতে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকাসহ আরো কিছু টাকা রেখে সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে যাই। রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার সবশেষ। পরে কোনো উপায় না পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে অজ্ঞাত চোরচক্রের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’ তিনি আরো ‘আমাদের দাবি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রকে যেনো খুঁজে বের করা হয় এবং দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির পাশাপাশি যেনো আমার খোয়া যাওয়া নগদ টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক খলিফা ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফিরোজ একজন ব্যবসায়ী মানুষ। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনি সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালীর মহিপুরে মোঃ ফিরোজ নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) গভীর রাতে মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজশিবাড়িয়া গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর বলেন, বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামা চোরচক্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে ফিরোজ ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তার নানি, মা, ফুফু ও ছোটভাই সিয়াম গভীর রাতে যখন ঘুমে নিমগ্ন ছিলেন, তখন চোরচক্র ব্যবসায়ী ফিরোজের সেমি পাকা ঘরের জানালার লোহার গ্রিল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের আলমারি ভাঙে। এ সময় ফিরোজের নানি টের পেয়ে সবাইকে জাগিয়ে তোলেন। পরে আশেপাশের লোকজনকে ডাক দিলে আলমারিতে থাকা ব্যবসায়ের ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে চোরচক্র। যাওয়ার সময় একটি টি- শার্ট, একটি ক্রুড্রাইভার ও লোহা উঠানোর একটি শাবল রেখে যায় তারা। এলাকাবাসী জানান, গভীর
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার পরিবারের হোসেন তালুকদার বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’