মোঃ আবদুল আলীম খান
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দুলালপুর-বালিনা সড়কটি বেহাল দশা। সাম্প্রতিক বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্ত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকস্থানে সড়কের বৃহদাংশ ভেঙে খাল ও পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর-বালিনা সড়কটি পাশের দেবিদ্বার উপজেলার সংযোগ সড়ক। উপজেলা সদরের সঙ্গে দুলালপুর ও শিদলাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক। প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুরুত্বপূর্ণ ইটের সলিংয়ের সড়কটির সমস্ত জায়গাজুড়ে খানাখন্দ, ছোট-েবড় গর্ত অতিক্রম করেই ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এ দুই উপজেলার দশ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তবে এবারের বন্যার পানিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১২ বছরেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুলালপুর-বালিনা সড়কের বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও সড়কের অংশ ভেঙে খালে বিলীন হয়েছে। । এ সড়কটির পাশে দুটি বড় পুকুর রয়েছে, এসব পুকুরের নিজস্ব কোনো পাড় নেই। সড়কটিকে পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে এবারের বন্যায় সড়ক ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এ সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এই দুই কিলোমিটার সড়ক আগে থেকেই সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্ত হয়ে ছিল। গেল বন্যায় সড়কটির আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পোমকাড়া, পূর্ব পোমকাড়া, পশ্চিম পোমকাড়া, বেড়াখলা, বালিনা, দুলালপুর,সিঙ্গারচাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলার ফাতেহাবাদ, সুবিল, ১০ গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ কয়েক বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বন্যার পর এ দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এই সড়কটি অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি। এবারের বন্যা এ সড়কটিকে চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে। এ সড়কে যানবাহন যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আমাদের কোথাও যেতে হলে অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে যানবাহনে উঠতে হচ্ছে।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল উপজেলা প্রকৌশল মোহাম্মদ আবদুল রহিম বলেন,উক্ত রাস্তাটি কয়েক বছর যাবত চলাচলের অনুপযোগী রয়েছে। এ নিয়ে আমরা কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি বর্তমানে রাস্তাটি সিসিবি প্রকল্প বাস্তবায়ন আমরা পাঠিয়েছি আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে পাশ হলে আমরা টেন্ডার আহ্বান করবো।