মোঃ আবদুল আলীম খান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় এ বছর ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন সবজি চাষ ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বছর বন্যায় ও আগাম শীতকালীন সবজি চাষের পূর্বে অতি বৃষ্টির কারণে উপজেলার কৃষকেরা অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এছাড়া অনেক জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় আগাম সবজি চাষে করতে পারেনি কৃষকেরা। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কৃষকদের এখন বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি বিক্রি করার কথা কিন্তু সেখানে কৃষকেরা জমি প্রস্তুত ও সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন সবজি চাষের জন্য কৃষকেরা জমিতে চাষ, আগাছা পরিস্কার, চারা রোপন, পানি দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কিছু কিছু কৃষক তাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য শিম, লাউ, লালশাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করছে। এছাড়া অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবেও চাষাবাদ করছে এসব সবজি। তার মধ্যে রয়েছে শিম, ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, মুলা, আলু, বেগুন, মিষ্টি আলু, টমেটু ও বিভিন্ন রকম সবজি। কৃষকেরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ফলন ভালো পাওয়ার জন্য ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কৃষকদের।
উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, এবছর জলাবদ্ধতার কারণে নিচু জমিতে আগাম সবজি চাষ করতে পারিনি। তবে উঁচু জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি, লাল শাক, মুলা, লাউ, টমেটু ও বেগুন চাষ করেছি।
চান্দলা এলাকার কৃষক মানিক মিয়া বলেন, আমি এবছর ৩০ শতক জায়গার মধ্যে আলু চাষ করেছি। যদিও মাটি ভেঁজা চাষাবাদে একটু দেরি হয়েছে। এখন আবহাওয়া ভাল থাকায় আশা করি ফসল ভাল হবে।
এছাড়া আরো ২০ শতক জায়গায়, বিভিন্ন প্রকার শাক, ধঁনেপাতা, টমেটু ও লাউ চাষ করেছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সবজির লক্ষ মাত্র ৩২০ হেক্টর এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২২০ হেক্টর। কৃষকরা বন্যার পরবর্তী সময়ে এখনো তাদের জমি প্রস্তুত করছে আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আজিজুর
রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : মাহফুজুর
রহমান