পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ-
বাড়ি থেকে স্থানীয় মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যাচ্ছিলো ১২ বছরের এক শিশু। পথে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে শিশুটি আশ্রয় নেয় উন্মুক্ত একটি দোকান ঘরে। সেখানে কেউ না থাকার সুযোগে বিটুল (২৮) নামের এক ব্যক্তি শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। কোন মতে বাড়ি ফিরে বাবা মাকে বিষয়টি জানায়। তারা তাকে প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
গত ৯ জুলাই জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। ওই দিনই বোদা থানায় মামলা করে শিশুটির বাবা। আসামী বিটুল বড়শশী ইউনিয়নের যুগের দুয়ার গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। ওই কিশোরী স্থানীয় এক ব্র্যাক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার পাশাপাশি স্থানীয় মক্তবেও পড়াশোনা করতো।
৬ দিন ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে শিশুটি। অবুঝ শিশুটি মানসিকভাবেও আঘাত পেয়েছে বলে জানায় তার পরিবার। মেয়ের দিকে তাকালেই চোখ দিয়ে পানি ঝরলে মায়ের। ৬ দিন ধরে হাসপাতালে শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে শিশুটি কিন্তু আসামী এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়ের বাবা জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মসজিদে কোরআন পড়তে যাওয়ার সময় পশ্চিম টোকরাভাষা এলাকার বিটুল নামের ওই ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দোকানে নিয়ে গিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আমি বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি আমার মেয়েকে ধর্ষনকারী বিটুলের ফাঁসি চাই।
শিশুটির মা বলেন, আমরা কিছু চাই না। আমার মেয়ের সাথে যে এমন পাশবিক কাজ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কিন্তু পুলিশ এখনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি মেয়ের মুখে দিকে তাকাতে পারছি না।
বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আসামী পলাতক রয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।