মোঃ সালাউদ্দিন রাসেল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভার্চ্যুয়ালী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না এবং আজও আমরা পাকিস্থানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম, ইতিহাসের মহামানব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি দুনিয়ার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের শ্রেষ্ঠবন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা এই আগস্ট মাসে হারিয়েছি। শোকাবহ আগস্টের সেই কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গমাতাড ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ-তাদের সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধের পর একটা ধ্বংস্তুপের মধ্যে যখন ফিরে আসি তখন আমাদের ঘর-বাড়ি কিছুই ছিল না। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সারা পৃথিবী থেকে তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন। সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে ভালোবাসতো। যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে দ্রুত পুনগঠিত করে বঙ্গবন্ধু যখন দেশের সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সে সময় পরাজিত দেশি-বিদেশি চক্র তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। আমি বলবো দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে কি প্রমাণিত হয়? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড শুধুমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগস্ট মাস আসলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে। আগস্ট মাস আসলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে।
আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টু। সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ’লীগের সভাপতি এম.এ সালাম। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মর্যাদাবান জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে তিনি সকলের প্রতি আহ্ববান জানান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান। বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতী, জেলা মহিলা আ’লীগের এড.বাসন্তী পালিত. এড শামীম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুন উদ্দিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নুরে আলম সিদ্দিকী, এ এস এম সেলিম, মহসিন খান, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, বাবর উদ্দীন সাগর, দেলোয়ার হোসেন, এড সাইফুন নাহার খুশী, জিকু, দিদারুল আলম, এয়াকুব মুন্না, শওকত হোসেন, সাব উদ্দিন, সৌহরাভ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মিন্টু বড়ুয়া, জাভেদ টুটুল, দীপন দাশ, তারেকুল, কালাম তুহিন, আশরাফ উদ্দিন, মাষ্টার মিজানুর রহমান, শওকত চৌধুরী, আবু তাহের, মো. সোহাগ, ইয়াছিন, তাজুল ইসলাম, মিরাজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ প্রমূখ।