এম.এইচ.আশা সরকার,স্টাফ রিপোর্টার:
“আমি গাছ বড় ভালবাসি। গাছ বেড়ে উঠলে ফল দেয়, ছায়া দেয় ও সবুজ প্রকৃতি গড়ে তোলে। গাছ দেয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তাই গাছ লাগানো আর এসব গাছের দেখভাল করাই আমার নেশা।”-মোত্তাকিন।
১৯৯৫ সাল থেকে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও সড়কের ধারে গাছ লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার হাট-গাড়াবাড়ি গ্রামের মোত্তাকিন শেখ।এলাকাবাসী বলছেন,মোত্তাকিন নিজের অর্থায়নে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগায়।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,মোত্তাকিন একজন এনজিও কর্মী।স্হানীয় এনজিও ‘দুস্থ কৃষি কল্যাণ সংস্থা’ তে কাজ করেন তিনি।কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পান তিনি,সময়টুকু গাছ লাগানো ও গাছের পরিচর্যাতে ব্যস্ত থাকেন তিনি।
মোত্তাকিনের সাথে কথা বলে জানা যায়,মোত্তাকিন যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই তার মধ্যে গাছ লাগানোর ইচ্ছাটা জেগে ওঠে।আর তখন থেকেই একটা-দুটা করে গাছ লাগাতে থাকেন তিনি।তিনি বলেন,-‘আমি সর্বদা মানব সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই।গাছ লাগানোটাও মাবন সেবারই একটা অংশ,তাই আমি গাছ লাগাতে ভালোবাসি।’
তার নিজ হাতে লাগানো গাছের মধ্যে রয়েছে-তাল,সৌদির খেজুর,বট,কৃষ্ণচূড়া,হাসনাহেনা,লেবু,কলা,সন্ধ্যা মালতি,টগর,আপেল,গোলাপ,পাকুর,জবা,কাঠবাদাম,আম,কাঁঠাল,পেঁপে ইত্যাদি। এছাড়াও গাড়াবাড়ি,ধুনচি,তেতুলিয়া,বিয়ারা,দশশিকা,বড়কুড়া,নান্দিনা,কাটাখালি সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ধারে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বট ও পাকুর গাছ লাগিয়েছেন এই এনজিও কর্মী।
উল্লেখ্য যে,ঝাটিবেলাই স্কুল মাঠের কাঠবাদাম গাছ ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের বৃহত্তর মেহগনি গাছটি তারই হাতে লাগানো।
এলাকাবাসী বলছেন,এই ছেলে সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করে এবং গাড়াবাড়ি হাটের আশেপাশেও অনেক গাছ লাগিয়েছে।
মোত্তাকিন বলেন,সরকারের সহযোগিতা পেলে আমার এই গাছ লাগানোর কর্মসূচি আরো বাড়াতে চাই।
মোত্তাকিনদের মতো বৃক্ষপ্রেমী মানুষদের এই গাছ লাগানোর নেশাটাই একদিন হতে পারে পুরো পৃথিবীর জন্য অক্সিজেন সরবরাহের কারখানা,এমনটাই প্রত্যাশা বিভিন্ন সচেতনমহলের।