ডেক্স রিপোর্ট ঃ
শুরু থেকেই এলাকায় পানি ছিলনা। পরে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি পেলেও তা ধরে রাখাতে পারেনি স্থানীয়রা, এর একমাত্র কারন এলাকার সুইস গেটের পাট না-থাকায় পানি ধরে রাখতে পারছেনা তারা, তবুও পানির সমস্যা কাটিয়ে, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রায় প্রতিটি পরিবার এখন পট শুখানোর কাজে ব্যাস্ত। যেমন পট শুকানো পাট জাগ দেওয়া বা (পাট পচানো) পাটক্ষরি থেকে পাট ছাড়ানো, পাট ধুয়ে শুকানো সহ, এমন সব কাজে সবাই ব্যাস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমের শুরু থেকেই এবার পানির অভাব ছিলো তাই অনেক দেরিতে কৃষকদের পাট কাটতে হয়েছে। স্থানীয় পাট চাষীদের কয়েকজন, আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, কদিন আগে জখন নদিতে পানি কম ছিলো, বৃষ্টিও হয়নি, জোয়ারের পানির আভাবে ডোবা নালা ছিলো শুকনো, সে-সময় আমরা অনেক দুস চিন্তায় ছিলাম। তবে হটাৎ বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে খালবিলে অনেক পানি হয়েছে। আমাদের মাঝে খুশির আমেজ ফিরে এসেছে। এখন আমরা পাট কাটতে পাট জাগ দিতে ও পাটক্ষরি থেকে পাটছাড়িয়ে তা শুখাতে সবাই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি। এবার পাট ভালো হলেও পাট চাষে লচের কথা বলেন অনেকে তাদেরই একজন, কৃষক আক্কাস ভুইয়া তিনি বলেন, পাটের বীজ বপণ থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে, আমাদের যে খরচ হয়, তাতে করে বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে , এখন একজন কৃষানের মুল্য ৭ থেকে ৮ টাকা খাবার সহ অন্যখরচ তো আছেই।এসব সমস্যা কথা জানালেন আরো অনেকে। অপর পাট চাষী কারিমুল ইসলাম আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন গত বছরে পাটের মৌসুমের শুরু থেকে বাজার মুল্য ছিল প্রতি মন ১৮ শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। বর্তমানে এ সপ্তাহে বাজারে পাটের প্রতি মন ১৬ শ থেকে ১৮ শ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রবিদুল ইসলাম ওয়াহিদ ফকির আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, অত্র এলাকার পাট চাষীদের সবথেকে বড় সমস্যা হলো চরডাঙ্গা, শিয়রবর, ধানাইড়, পার শিয়রবর সহ বিষাল এই বাওরে জোয়ারের পানি ধরে রাখার একমাত্র সুইস গেট টি গত দু-বছর আগে পানির চাপে ভেঙে গিয়েছিলো সে-ই থেকে এপর্যন্ত বহুবার তাদে কাছে বিষয়টি জানিয়েছি এবং জনসাধারণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আমি নিযে অনেক চেষ্টা করেছি তবে আজো পর্যন্ত এর কোনো সুফল আমরা পাইনি। মাত্র কয়েক বছর আগে এলাকার কৃষকদের সুবিধার্থে, চরডাঙ্গা বাজারের দক্ষিণ পাশে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে সুইস গেটটি তৈরী করেছিলেন কৃষি বিভাগ বা কৃষি উন্নয়ন বোর্ড। সেটি এখন শুধুই জনগনের শেতু হিশেবেই ব্যাবহার হচ্ছে কিন্তু কৃষকের ও কৃষি জমির কোনো উপকারে আসছেনা। তাই এলাকার কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ এই সুইস গেট টি মেরামত করে স্থানীয়দের পানির সমস্যা সমাধানের দাবি এই এলাকার জন সাধারণের। এদিকে এলাকার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাট বাজারে বিক্রেতাদের থেকে প্রচুর পাট কিনছেন ব্যাবসায়ী গন। এ-বিষয়ে উপ সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজওয়ান ইসলাম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, এ উপজেলায় ২৫৮৫ জন কৃষকের মধ্যে আমরা ১ কেজি করে পাট বীজ ও সাড়ে ৯ কেজি করে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার বিতরণ করেছি প্রতি পাটচাষীদের সাথে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে, এ উপজেলার সবখানেই এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ১০২ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ভালো আবাদ হয়েছে, অন্যদিকে এ উপজেলা ও আশেপাশের এলাকা পাট চাষের জন্য ও যথেষ্ট উপযোগী। এ কারণে প্রতি বছরই এসব এলাকায় পাটের ফলন ভালো হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সহ সার্বিক সেবা দিয়েথাকি
সম্পাদক ও প্রকাশক : আজিজুর
রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : মাহফুজুর
রহমান