মোঃফেরদাউছ মিয়া,
পলাশবাড়ী,প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামপুলিশ (মহল্লাদার ও দফাদার) নিয়োগে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
ফলে এ নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুন: নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সোহেল রানা নামে নিয়োগ বঞ্চিত ভূক্তভোগী এক যুবক।
ওই যুবক ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০ টার দিকে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে এসে
কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ ছিলেন। গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যুর পর কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে তিনি অস্থায়ী গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মহল্লাদার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রিকাশ হলে
বিধি মোতাবেক আবেদনের পর ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে আমি কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মহল্লাদার হিসেবে শারিরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। এরপর যথারিতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সন্তোষজনক ফলাফলে শতভাগ নিশ্চিত হই।কিন্তু নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে আমাকে নিয়োগ বঞ্চিত করে ফলাফল প্রকাশ করে।
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ওই যুবক বলেন, আমি বিএসএস এর তৃতীয় বর্ষের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। অপর দিকে নির্বাচিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার কোন সার্টিফিকেট নাই। সে ভালভাবে নিজের নাম স্বাক্ষর করতে সক্ষম নন। প্রকাশ্যে পরীক্ষা নিলে তিনি নিশ্চিত কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হবেন বলে দাবি করেন সোহেল রানা।
এমতবস্থায় অনিয়মে ভরা স্বজনপ্রীতিমূলক এ নিয়োগ বাতিল করত: জেলা প্রশাসকের তত্ত্ববধানে পুন:নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এ নিয়োগ পরীক্ষা উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত হয়।