অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নরসিংদী রায়পুরার চরাঞ্চলে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষে মধ্যে চলে টেঁটা যুদ্ধ। কবে রায়পুরার চরাঞ্চলের টেঁটা যুদ্ধ বন্ধ হবে কেউ বলতে পারে না। প্রায় এক শত বছর ধরে ধংসানুক্রমে ওই এলাকায় টেঁটা যুদ্ধ চলে আসছে। এক দল মানুষ যুগের পর যুগ ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে টেঁটা যুদ্ধ করে আসছে। রায়পুরার চরাঞ্চলে টেঁটা যুদ্ধ বন্ধ করতে এলাকাবাসী, জনপ্রতিনি, প্রশাসন মিলে অনেক বার একাধিকবার বৈঠক করেও এলাকার টেঁটা যুদ্ধের সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা চরবিস্তৃত ইউনিয়নে কিছুদিন পর পর টেঁটা যুদ্ধ হয়। রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা, বাঁশগাড়ী, মির্জাচর ও পাহারতলী ইউনিয়নে টেঁটা যুদ্ধ বেশি হয়।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই বংশের মধ্যে টেঁটা সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের নজির মিয়ার পক্ষের লোকদের সাথে নান্নু মিয়ার পক্ষের লোকেরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
নজির পক্ষের আহতরা হলেন, কালিকাপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন(২৫), মৃত সাদত আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৪৫), মৃত মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) ও ছায়দুল ইসলাম(২৫) এবং শুক্কুর আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০), বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগম।
অন্যদিকে নান্নু মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন, মস্তু মিয়ার ছেলে মোখলেস (৫০), আলী আজমের ছেলে নাজীর হোসেন, মৃত আবু রশিদ মিয়ার ছেলো আবুল হোসেন(৪৫), মৃত কালু মিয়ার ছেলে লাক মিয়া (৪২)। আহতরা প্রত্যেকেই কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। আতরা রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং কয়েকজন এলাকা থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা সূএে জানা যায়, এক বছর আগে নজীর মিয়া একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করে। একই জমি অন্য আরেক জনকে কিনে দিতে চান নান্নু মিয়া মেম্বার। এই ঘটনার জেরেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশ বৈঠকও হয় । সোমবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন গুরুতর আহত হয় বলে জানা যায়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার মুঠোফোনে গনমাধ্যমকে জানান , জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে ।
নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে টেঁটা যুদ্ধ কবে বন্ধ হবে কেউ বলতে পারে না। নরসিংদীর সচেতন মানুষ চায় টেঁটা যুদ্ধ বন্ধ হোক। এ নিয়ে সচেতন মানুষ বৈঠক করেও কোন সমাধান করতে পারেননি।