চন্দন মিত্র(দিনাজপুর)
==============================
দিনাজপুরে বিএডিসি যুগ্ন পরিচালক শওকত আলীকে মিথ্যে অভিযোগে বদলির ষড়যন্ত্র করছে কতিপয় স্বার্থানেশ্বী মহল। দিনাজপুরে বিএডিসি সারের দায়িত্বে কর্মরত যুগ্ন পরিচালক মোঃ শওকত আলীর মেধা ও বিচক্ষরতার কারণে দিনাজপুর অঞ্চলে কোন সারের সংকট নেই বা চাকুরিতে যোগদানের পর থেকেই সারের কৃত্রিম সংকট হ্রাস পায় । ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা আলু ,ভুট্টা, ধান, গম ,ডাল ও সরিষাসহ বিভিন্ন সবজির ফলন ইত্যাদি চাষাবাদ করতে কোন সমস্যা হয় না।,যুগ্ন পরিচালক মোঃ শওকত আলী গত ২০২৩ সালের ১ লা জানুয়ারি দিনাজপুরে বিএডিসিতে যোগদান করেন,আগে যে সব যুগ্ন পরিচালক সারের দায়িত্বে ছিলেন তারা কয়েকজন ডিলারদেরকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন ফলে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সাধারণ সার ডিলারদের মাঝে প্রচুর ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছিল। সিন্ডিকেটের কতিপয় ডিলারদের মধ্যে সার ভাগা ভাগি হতো,কিন্তু যুগ্ম পরিচালক মোঃ শওকত আলী যোগদানের পর থেকেই তিনি সিন্ডিকেট ভেঙে দেন।সিন্ডিকেট ডিলাররা অনেক প্রলোভন দেখার পরেও তিনি সিন্ডিকেট তৈরি করতে রাজি হয়নি,ফলে সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্ট ডিলাররা যুগ্ন পরিচালকের বিরুদ্ধে ভিন্ন মনগড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির গল্প তৈরি করে ভিন্ন ভাবে তাকে বিভ্রান্ত করার জন্য কৌশলে অবলম্বন চালিয়ে যাচ্ছে। ওইসব ডিলাররা মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে বিএডিসির চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করেন ।তাদের একটাই উদ্দেশ্য এই যুগ্ম পরিচালক শওকত আলীকে এখান থেকে অন্য স্থানে বদলি করার।কারণ তিনি এখান থেকে বদলি হলেই আগের সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। যুগ্ন-পরিচালক শওকত আলী তার কার্যালয়ের এক কিলোমিটার দূরেই সহ পরিবারের নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি ডিলারদের কথা চিন্তা করে দুপুরের খাবারটাও সে পাশের একটি রুমের সেরে নেন,এবং আধাঘন্টা বিশ্রাম নেন।কোন ডিলার যেনো হয় রানীর শিকার না হন এর জন্য তিনি অফিস এবং গুদামে তদারকি করেন। পূর্বের যে সব যুগ্ন পরিচালক দায়িত্বে ছিলেন তাদের সময় প্রতিটি সারের বস্তায় সার কম থাকতো। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো,কিন্তু বর্তমানে যুগ্ন পরিচালক শওকত আলী যোগদানের পর থেকেই সারের ওজন এবং গুণগত মান পরীক্ষা করে নিয়ে তারপরেই সার গুদাম জাত করা হচ্ছে বিএডিসির এ অঞ্চলের অধিকাংশ ডিলারকে বর্তমান যুগ্ম পরিচালক এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ডিলাররা এক বাক্যে বলেন,যুগ্ন পরিচালক শওকত আলী আছেন বলেই সাধারণ ডিলারদের মাঝে স্বস্তি আছে, সততা ও আস্থার বাতি হয়ে আছে বলেই সব সময় সার পাওয়া যাচ্ছে।তিউনিসিয়া কালোসার সিন্ডিকেট ডিলারেরা কয়েকজন মিলে এই সব ভাগাভাগি করে নিতো,কিন্তু এই যুগ্ন পরিচালকের সময়ে সমস্ত ডিলারদের মাঝে ওই সব সার সমান ভাবে ভাগ করে দেয়া হয়,তাই কিছু সিন্ডিকেট ডিলারদের সমস্যা হয় একতরফা সুযোগ না পাওয়ার কারণে তারাই যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।কিন্তু গুটি কয়েক এক তরফা সুবিধাভোগী ডিলার ছাড়া অধিকাংশ সাধারন ডিলারদের দাবি যুগ্ন পরিচালক শওকত আলী এই অঞ্চলেই কর্মরত থাকলে সাধারন ডিলার ও কৃষক বাঁচবে।শওকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া কাহিনি ।গুটি কয়েক ডিলার তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে এবং অবৈধ সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রপোগান্ডা ছড়াচ্ছে ।কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য আমি এই চেয়ারে বসিনি। কারো ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কৃষকদের স্বার্থকে ভুলুন্ঠিত করতে পারবো না।এতে আমার বিরুদ্ধে যত ইচ্ছে ষড়যন্ত্র করুক আর মিথ্যে প্রপোগান্ডা ছড়াক।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আজিজুর
রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : মাহফুজুর
রহমান