ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯ জন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে জেলা সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার লাউথুতি গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৯), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (১৮) ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩) মারা গেছেন।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৩ জনকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আহতেরা শঙ্কা মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল ৪টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে সদরের লাউথুতি গ্রামের আরিফুল ইসলাম, মনির হোসেনসহ তাঁদের পাঁচ বন্ধু বাড়ির অদূরে দেওয়ানী বাজারের পাশে ভুল্লি নদীতে গোসল করতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে আরিফুল ও মনির হোসনের মৃত্যু হন। আহত হয় একই গ্রামের ফারুক হোসেন, ফরিদ উদ্দিন ও মো. আলম। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক দুই তরুণকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রকিবুল আলম বলেন, বজ্রপাতে আহত তিনজনের শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে।
অন্যদিকে ৫টার দিকে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আতাউর রহমানের। এ সময় আহত হন ৬ জন।
কালিবাড়ী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ছয় বন্ধু মিলে বিকেলে বাড়ির পাশে বসেছিল। হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তারা আহত হয়। এ সময় স্থানীরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আতাউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ ও বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বজ্রপাতে তিন তরুণে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।