এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী রুনা খাতুনকে (২৯) থানায় আনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসময় স্বামী মোস্তফা কামালের জামার পকেট থেকে একটি “চিরকুট” উদ্ধার করা হয়। তাতে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে স্বামী মোস্তফা কামাল (৪২) শশুড়ির বাড়ি উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ফলদা ঘোনাপাড়া এলাকায় গাছের সাথে স্ত্রীর ওরনার দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের আনন্দপাড়া গ্রামের আমির আলীর ছেলে।
জানা যায়, মোস্তফা কামাল ও স্ত্রী রুনা খাতুনের ঘরে একটি ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ায় এই নিয়ে মাঝেমধ্যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। এতে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে কামাল স্ত্রীর ওরনা নিয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত মোস্তফা কামালের বড় ভাই সাজেদুল করিম বলেন, পরকীয়া নিয়ে তাদের দুইজনের মধ্যে ঝগড়ার কারণে বনিবনা চলছি। যে কারণে কামাল হতাশগ্রস্থ হয়ে তার স্ত্রীর ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দিতে পারে বলে ধারনা করছি।
ফলদার ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গাছে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তার পকেট থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে স্ত্রীর পরকীয়া করার বিষয়টি লেখা ছিল। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।