অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
গাজীপুরে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য চাষ বৃদ্ধির ফলে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। মৎস্য চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে।
গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অনেক শিক্ষিত বেকার তরুন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ ও ঋন নিয়ে পুকুর, জলাশয়, নালা, ডোবায় মাছের চাষ করে সাবলম্বী হয়েছে। পুরাতন মৎস্য চাষীদের মৎস্য অধিদপ্তর থেকে পর্যায় ক্রমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করা হচ্ছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূএে জানা যায়, জেলার পুকুর দীঘির সংখ্যা ১৫ হাজার টি ( আয়তন ৪ হাজার ১ শত ২ হেক্টর), প্লাবণ ভূমি ৪০ হাজার ৯ শত ৮৯ হেক্টর, নদী ১০ টি ১ হাজার ৭ শত ৫৩ হেক্টর,খালে মৎস্য চাষ ৩ শত ৫৬ হেক্টর, বিল ১হাজার ৭ শত ১৭ হেক্টর, ধান ক্ষেতে মৎস্য চাষ ৩ হাজার ১ শত ৯৭ হেক্টর। গাজীপুরে বে সরকারি হ্যাচারী ৫ টি এর মধ্যে ৩ টি মনোসেক্স, ১ টি ক্যাটফিস, ১ টি কার্প হ্যাচারি। মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানা ৪০ টি, মৎস্য খাদ্য আমদানি – রপ্তানিকারক ৪০ টি। মৎস্য বাজার ১৫৬ টি, মৎস্য আড়ৎ ১০৩টি রয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নে বসত বাড়ি, বনভূমি ছাড়া ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ জমিতে মৎস্য চাষ করা হয়।
মৎস্য চাষী মো. মোতালিব মিয়া জানান, মাছের নিম্ন মানের খাবার, পোনার গুনগত মান, সারের সঠিক মান, মাছের রোগ নির্নয় ও চিকিৎসা, বিদ্যুৎ না থাকার কারনে অক্সিজেনের প্রয়োগ সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
রঘুনাথপুর মৎস্য উৎপাদনকারী নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, বর্তমানে তেলাপিয়া মাছ সহ বিভিন্ন জাতের মাছ খামারে মরতে শুরু করেছে । খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার এসেও সঠিক মাছের রোগ নির্নয় করতে পারছে না। কোনো ডাক্তার বলছেন আবহাওয়া ও অধিক তাপমাত্রা, স্টেপটুকোকাচ ব্যাকটোরিয়াল ইনফেকশন। আমরা মাছ উৎপাদনের সাথে যারা জড়িত আছি সঠিক রোগ নির্নয়ে সমস্যায় আছি। উপজেলা মৎস্য সম্পদ অফিসে কোন রোগ নির্নয় করার ল্যাব না থাকায় সঠিক রোগ নির্নয় করতে পারছি না। ফলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খামারে ঔষধ প্রয়োগ করছি। অনেক সময় উপকার হয়। কোন সময় খামারের অনেক মাছ মরে গেলে খামারীরা ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে পড়ি।
গাজীপুরে মৎস্য খামার গুলোতে তেলাপিয়া, রুই, কালিবাউশ, পাঙ্গাস, কৈ, শিং, মাগুড়, পাবদা মাছের চাষ বেশি করা হয়।
প্রতি খামারীদের মৎস্য চাষের উপর প্রশিক্ষন, উন্নত মাছের পোনা, চিকিৎসা সহযোগিতা পেলে পুষ্টির চাহিদা পুরন ও আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মৎস্য চাষীরা মনে করেন।