টেকনাফ প্রতিনিধি( কক্সবাজার)
গোপন সূত্রে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১নং ওয়ার্ডের উখিয়া ঘাট কাস্টম এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এ প্রেক্ষিতে র্যাব বর্ণিত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং গত ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৬.১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল একটি মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১নং ওয়ার্ডের উখিয়া ঘাট কাস্টমের বশরের ভাঙ্গারী দোকানের সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আইসের চালানটির মূলহোতা মোহাম্মদ জুবায়ের (৩৩), (এফডিএমএন), পিতা-আব্দুর রশিদ আহম্মদ, মাতা-দিলচার, সাং-বালুখালী, ক্যাম্প-১১, ব্লক-এ/১, হেডমাঝি-রহমতউল্লাহ, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ জুবায়ের’কে জিজ্ঞাসাবাদে তার ডান হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগের ভিতরে ক্রিস্টালমেথ বা আইস রয়েছে বলে স্বীকার করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ধৃত ব্যক্তির হেফাজত হতে সর্বমোট ৮০০ গ্রাম ক্রিস্টালমেথ (আইস), ০১টি দেশীয় তৈরী এলজি এবং ০২ রাউন্ড পুরাতন শর্টগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। কথিত আছে উদ্ধারকৃত ৮০০ গ্রাম ক্রিস্টালমেথ বা আইসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ০৪ কোটি টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদানসহ পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক চোরাচালান চক্রের যোগসাজসে দেশে অবৈধ মাদক আইস চোরাকারবারির সাথে সে জড়িত বলে স্বীকার করে। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক সিন্ডিকেটের সাথে সার্বিক সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আইসের চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে এবং এই সকল মাদকের চালান বিভিন্ন উপায়ে এজেন্টদের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।