ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও বানিজ্য বিভাগ থেকে পাশ করেনি কোনো শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ রেজাল্ট ৩.৭৫। পাশের হার ২০ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের ফলাফল দেখে এ তথ্য জানা যায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী।
তার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩ জন ও বানিজ্যে বিভাগে ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাশ করেনি কেউ। মানবিক বিভাগ থেকে ১১ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। তার মাঝে পাশ করেছেন তিন জন। সর্বোচ্চ একজন ৩.৭৫ এবং বাকী দুইজন ৩.১৭ পেয়ে পাশ করেছেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্টে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর কর্তৃক প্রেরিত এক পত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলকে কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। চার বছরে কোনো জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি কলেজটিতে।
জনবল না থাকায় কলেজটিতে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় না। যারা ভর্তি হয় তাঁদের নিজ দায়িত্বে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে হয়। অনলাইন সিলেকশনের মাধ্যমে প্রতিবছরই কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তবে ভর্তির পর স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিসি নিয়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুজাম্মিল হক মোল্লাহ বলেন, এখানে ভর্তি হওয়ার পরে আমি বলে দিয়েছি অন্যত্র চলে যেতে। কিন্তু ছাত্ররা নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা দিবে বলেছে। ওরা সবাই ইংলিশে ফেল করেছে। ওরাও পড়াশোনা করে নাই। আর প্রতিষ্ঠানের তো সক্ষমতা নেই। এটা আসলে ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে মানা যায় না।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আইআইইআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোছাইন বলেন, ক্লাস নেই, পরীক্ষা নেই, শিক্ষক নেই এসব কারণে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। আমি সার্বিক বিষয় নিয়ে ইউজিসি ও প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, কলেজটাকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আজিজুর
রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : মাহফুজুর
রহমান