”
ফখরুদ্দিন তাহসিন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় অবস্থিত খেকুয়ানি বাজার সংলগ্ন নদীতে
“KING ABDULLAH BIN ABDUL AZIZ MOBILE HOSPITAL BANGLADESH (KAAP-MHB)-1 সৌদি বাদশার অর্থায়নে একটি ভাসমান হাসপাতাল দীর্ঘ দুই মাস যাবৎ স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে এতে করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিয়ে উপকৃত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার লোক। এখানে প্রতিদিন সকালে মহিলা ও পুরুষ আলাদা আলাদা করে বিনামূল্যের টিকিট দেয়া হয় এবং কোনো ডাক্তারি ফি ছারা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এই ভাসমান হাসপাতালে। মোবাইল হাসপাতালের কর্মকর্তারা তিনটি ক্যাটাগরিতে রোগীদের ভাগ করে সেবা দিয়ে থাকেন, তাহলো সাধারণ রোগী, চোখের রোগী ও দাঁতের রোগের চিকিৎসা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সকল ধরনের রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন তারা, ডাক্তার দেখানোর পরে বিনামূল্যে পরীক্ষাও করেন এই মোবাইল হাসপাতালে।
রোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, এখানে ভাসমান হাসপাতালের সেবা থেকে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন, বিভিন্ন রকমের পরীক্ষাও পাচ্ছেন, ঔষধ ও পাচ্ছেন। ফলে প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড়শ রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এতে তারা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের সমঝোতায় সুন্দর স্বাস্থ্য সেবার জন্য সাধারণ জনগণ সন্তুষ্ট এবং এই স্বাস্থ্য সেবার প্রতি তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
জানাগেছে ভাসমান মোবাইল হাসপাতালটি প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নামে নামকরণ করা হয়েচছে। হাসপাতালের অর্থায়ন করেছে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রামের (কেএএপি) অধীনে থাকা ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক।
২০১৭ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ভাসমান হাসপাতালগুলো প্রাথমিকভাবে ফেন্ডশিপ নামের একটি এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে মোট পাঁচ টি হাসপাতাল । গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এনজিওটি বাংলাদেশে ভাসমান হাসপাতাল চালিয়ে আসছে। আরও জানা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এই হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।